প্রতীকী ছবি।
রেশন কার্ডের তথ্য সংগ্রহ ও নথিবদ্ধকরণের জন্য নয়া প্রকল্পের (কমন রেজিস্ট্রেশন ফেসিলিটি) উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন সচিব সুধাংশু পাণ্ডে। আপাতত ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাইলট ভিত্তিতে এই প্রকল্প চালু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। অন্য দিকে ‘রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি’ প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সাহায্য পেতে কেন রেশন কার্ড প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাই কোর্ট।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন ‘কমন রেজিস্ট্রেশন ফেসিলিটি’-র মাধ্যমে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে নথিভুক্ত হতে আগ্রহী বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এমনকি এক রাজ্যের যে সব বাসিন্দা অন্য রাজ্যে থাকেন তাঁদের তথ্যও দ্রুত সংগ্রহ করতে পারবে রাজ্যগুলি। পাণ্ডের মতে, ‘‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে নাম নথিভুক্ত করার কাজ দ্রুত শেষ করতে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে এই পোর্টাল।’’ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ৮১.৩৫ কোটি দেশবাসীকে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত ৭৯.৭৪ কোটি মানুষকে এর আওতায় আনা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
অন্য দিকে ‘রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি’ প্রকল্পের অধীনে সাহায্য পেতে রেশন কার্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাই কোর্ট। ওই প্রকল্পের অধীনে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা দেশবাসী মারাত্মক রোগের চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্য পান। আর্থিক সাহায্যের খাতে বরাদ্দ অর্থ সরাসরি হাসপাতালকে দেওয়া হয়। ক্যানসারে আক্রান্ত এক তরুণী এমসে এই প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু হাসপাতালের তরফে জানানো হয় রেশন কার্ড না থাকলে ওই সাহায্য মিলবে না। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি।
আজ এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি যশবন্ত বর্মা বলেন, ‘‘রেশন কার্ডের অভাবে কেউ এই প্রকল্পে সাহায্য না পেলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ ক্ষেত্রে রেশন কার্ড কেন প্রয়োজন? কারও সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হলে অন্য নথি আছে।’’ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে কোর্ট।