চণ্ডীগড় স্টেশনের পাশে পার্কিং স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
ছেলেকে ছাড়তে চণ্ডীগড় রেলস্টেশনে এসেছিলেন প্রৌঢ়। ট্রেন দেরিতে চলায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তার জন্য গুনতে হল ১,০০০ টাকা। কারণ, স্টেশনের পাশে নতুন পার্কিং স্টেশনে গাড়ি রেখেছিলেন তিনি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানালেন প্রৌঢ়। খোলা চিঠিতে লিখলেন, ‘এ ভাবে সাধারণ মানুষকে লুট করা হচ্ছে!’
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছেলেকে ছাড়তে চণ্ডীগড় রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন জনৈক বিক্রম সিংহ। খারাপ আবহাওয়ার জন্য সে দিন ট্রেন দেরিতে চলছিল। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল বিক্রমকে। তিনি গাড়ি রেখেছিলেন স্টেশনের পাশে তৈরি হওয়া নতুন পার্কিং স্টেশনে। ছেলেকে ট্রেনে তুলে দিয়ে গাড়ি বের করতে গিয়ে অবাক হয়ে যান বিক্রম। জানানো হয়, পার্কিং চার্জ ১,০০০ টাকা।
স্টেশনের পাশে গাড়ি রাখতে হলে ঘণ্টাপিছু হাজার টাকা করে কেন দিতে হবে, এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন প্রৌঢ়। তিনি জানান, ওই পার্কিং স্টেশন থেকে বলা হয়, সেখানে ৬ মিনিট গাড়ি রাখলে ৩০ টাকা দিতে হয়। ১৫ মিনিট গাড়ি দাঁড়ালে ৫০ টাকা এবং ৩০ মিনিটের জন্য ২০০ টাকা। কিন্তু ৩০ মিনিট পেরোলেই ১,০০০ টাকা দিতে হবে। বিক্রমের অভিযোগ, ‘‘এ কেমন নিয়ম!’’ মোদীকে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘এ ভাবে সাধারণ মানুষকে লুট করা হচ্ছে।’
অন্য দিকে, এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, স্টেশনের পাশে কয়েকটি জায়গা গাড়ি রাখার জন্য ধার্য করা হয়েছে। সবার উচিত সেখানে গাড়ি রাখা। ওই সব জায়গায় তিন ঘণ্টার জন্য ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন এলে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্য গাড়ি রাখার স্থান সংকুলান হয় না, মানছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ। যদিও বিক্রমের মতো আরও বেশ কয়েক জন অভিযোগ করছেন, গাড়ি রাখার জন্য প্রচুর টাকা দিতে হয়। তা ছাড়া, চণ্ডীগড় স্টেশন যেতে অ্যাপ ক্যাব যে ভাড়ার অঙ্ক হাঁকায়, সেটাও অবাক করার মতো। তার উপর পার্কিংয়ের খরচ এড়াতে স্টেশন থেকে বেশ কিছুটা দূরেই যাত্রীদের ছেড়ে দিচ্ছেন গাড়িচালকরা।