এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে বাঙালি যাত্রীর দাবিতে নয়া জল্পনা। ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে নয়া মোড়। এ বার ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি আসা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের এক যাত্রী দাবি করলেন যে, মত্ত অবস্থায় থাকা শঙ্কর মিশ্র মদ না দেওয়ার জন্য বিমান সংস্থার কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও তিনি শঙ্করকে মদ খেতে দেখেছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা তাঁর অনুরোধ মেনেছিল কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই যাত্রী।
বাঙালি ওই যাত্রী সুগত ভট্টাচার্য আমেরিকার চিকিৎসক। ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শঙ্করের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সৌগতর দাবি, তিনি নিজে শঙ্করের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছিলেন মত্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের মদ না দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ রক্ষা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন সৌগত। তাঁর দাবি, যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার ঘটনাটি তিনি স্বচক্ষে দেখেননি। তবে দীর্ঘ ক্ষণ ওই যাত্রীকে বিমানের ভেজা আসনে বসে থাকতে দেখেছেন বলে দাবি তাঁর।
বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে কী ভাবে এক জন বৃদ্ধাকে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রস্রাবের কারণে ভিজে যাওয়া আসনে বসিয়ে রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রস্রাবকাণ্ডের পর ওই বৃদ্ধাকে তাঁর অনিচ্ছা সত্ত্বেও শঙ্করের কাছে নিয়ে গিয়ে বিষয়টা মিটমাট করে নেওয়ার কথা বলা হয়। এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই বাঙালি চিকিৎসক। তাঁর মতে, বিবদমান দু’পক্ষকে আলাদা করতে পারেন বিমানের কর্মীরা, কিন্তু বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলার কোনও অধিকার তাঁদের নেই।
অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় ছিলেন শঙ্কর। ওই অবস্থায় তিনি হঠাৎই প্যান্টের জিপ খুলতে শুরু করেন। তার পর সকলকে অবাক করে দিয়ে এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। ওই বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শঙ্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।