—ফাইল চিত্র
বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ মেলেনি। তাই ফের নিটের আয়োজন করতে চায় না কেন্দ্র। স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ফের নিজেদের এই অবস্থানের কথা সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। বুধবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দিয়ে বলা হয়েছে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই নিটে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং শুরু করতে চায় তারা।
নিটে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টিতে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা হয়। সেগুলি একত্র করে সোমবার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ না দিলেও দুর্নীতি এবং অনিয়মের ব্যাপ্তি বুঝতে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্র এবং পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র কাছে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছেও ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে। তার আগে বুধবার আদালতে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, নিটে কোথাও বৃহত্তর মাত্রায় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোথাও নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা অন্যায্য সুবিধা পাননি বলেও দাবি করা হয়েছে ওই হলফনামায়। নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে মাদ্রাজ আইআইটির একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছে কেন্দ্র। সেই রিপোর্টে একাধিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, নিটে বড় ধরনের কোনও অনিয়ম হয়নি। তাই কেন্দ্র আরও এক বার আদালতকে জানিয়েছে, তারা ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কথা মাথায় রেখে পুনরায় নিট চায় না। বরং জুলাইয়ের তৃতীত সপ্তাহ থেকে সফল পরীক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়।
এনটিএ তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, নিটে ৬৭ জন পড়ুয়ার পুরো নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করার নেপথ্যেও যথেষ্ট যুক্তি এবং কারণ আছে। এই ৬৭ জনের মধ্যে হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৬ জন পরীক্ষার্থী আছেন। এনটিএ-র দাবি, প্রশ্নপত্র দেরিতে দেওয়ার কারণে ওই ছ’জনকে গ্রেস বা অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়তি নম্বর পাওয়া পড়ুয়াদের নিয়ে পুনরায় পরীক্ষার আয়োজনের পর দেখা যায়, ৬৭ নয়, ৬১ জন পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন। এনটিএ বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে আরও জানিয়েছে, ৫ মে-র পরীক্ষায় প্রথমে ১৭ জন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর ৭২০ পেয়ে সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছিলেন। পদার্থবিদ্যার একটি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় কয়েক জন পড়ুয়া উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানান। বিশেষজ্ঞরা স্থির করেন, নির্দিষ্ট ওই প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রে দেওয়া দু’টি বিকল্পকেই সঠিক বলে ধরে নেওয়া হবে এবং নম্বর দেওয়া হবে। উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের পর আরও ৪৪ জন পুরো নম্বর পান বলে জানিয়েছে এনটিএ।