— প্রতীকী চিত্র।
কাস্তেতে হাত কেটে গিয়েছিল তরুণীর। জেলা হাসপাতালে টিটেনাস নিতে গিয়েছিলেন। তাতেই হল বিপত্তি। সুচ গেঁথে রইল কিশোরীর বাহুতে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে অভিযোগ জানায় তরুণীর পরিবার। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের ঘটনা। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার আরএস প্রজাপতি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ঘটনাটি হয়েছে। মা রুবির সঙ্গে টিটেনাস ইনজেকশন নিতে জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন ১৮ বছরের মাহাক। তাঁর বাড়ি হামিরপুরের খালেপুরায়। প্রজাপতি জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে মাহাকের হাতে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়ে। তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে আবার হাসপাতালে ছুটে আসেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ইনজেকশনের সুচ মাহাকের হাতে গেঁথে রয়েছে। এর পর হাসপাতালের তরফে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মাহাকের বাবা মৌসম খান জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে মেয়ে বাড়ি গেলে দেখা যায় তাঁর হাতেই গেঁথে রয়েছে সুচ। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গীতম সিংহ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর গোচরে আসার পর মৌখিক ভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি। সদর কোতোয়ালি থানার আধিকারিক দেবেন্দ্রকুমার মিশ্র জানিয়েছেন, থানায় কোনও পক্ষই লিখিত ভাবে এই নিয়ে অভিযোগ করেনি। বিষয়টি মিটে গিয়েছে।