— প্রতীকী চিত্র।
২০২৩ সালে প্রায় ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার কুকুরে কামড়ের ঘটনা ঘটেছে দেশে। কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের। মঙ্গলবার সংসদে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীবরঞ্জন সিংহ লিখিত প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শুরু হয়েছিল ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ় সার্ভেলেন্স প্রোগ্রাম’। সেখান থেকে সারা দেশে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালে এই সংখ্যাটি ৪৬.৫ লক্ষ।
সব কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা না-থাকলেও কুকুর কামড়ালে এআরভি নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম এবং ২৮তম দিনে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেই এআরভি নেওয়ার জন্য সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় বাড়ছে বলে তথ্য দিয়েছে কেন্দ্র।
কুকুরে কামড়ানোর ক্রমবর্ধমান ঘটনার প্রেক্ষিতে আগেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চলতি বছরের মার্চেও এমন আরও একটি নির্দেশ জারি হয়। যেখানে পথকুকুর এবং পোষ্যদের কামড়ের ঘটনার তথ্য আলাদা আলাদা করে নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে সংসদে বলা হয়, ‘‘কুকুরের কামড়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজ্যকে তহবিল এবং সাহায্য করার কাজ চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার।’’