বিজেপি-বিরোধী জোটে নেতৃত্ব বাছাইয়ের উপরই বেশি জোর দিলেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে আর লড়বেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও তিনি নেই। সোমবার জানালেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। বিজেপি-বিরোধী জোটে নেতৃত্ব বাছাইয়ের উপরই বেশি জোর দিলেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’।
সোমবার পুণেতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পওয়ার। সেখানে আগামী লোকসভা ভোটে অ-বিজেপি জোটের সম্ভাবনা কেমন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে পওয়ার জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ নন। তবে বিরোধীরা এক বার একজোট হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোঁজার কাজে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। পওয়ার বলেন, ‘‘আমি বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা জারি রয়েছে। তবে আমি নিজে আর আগামী নির্বাচনে (লোকসভা) লড়ব না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর মুখও নই।’’ তিনি আরও জানান, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা (ইউবিটি), কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কয়েক দিন আগে মুম্বইয়ে আত্মজীবনীর নতুন সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে নাটকীয় ভাবে পওয়ার জানান, তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। নিজের হাতে গড়া দলের শীর্ষপদ থেকে এই প্রবীণ রাজনীতিক কেন ইস্তফা দিতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায়। তিন দিন পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারও করে নেন তিনি।
অন্য দিকে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে বাংলা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হচ্ছে মঙ্গলবারই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের এই বৈঠক রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে এই দুই নেতৃত্বের সম্পর্কের যে সমীকরণ তাতে এই সাক্ষাৎ আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। কর্নাটক ভোটের আগে বিজেপি-বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। এর আগে মমতার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, এইচডি কুমারস্বামী প্রমুখের। তবে তাঁরা কেউই বিরোধী জোট হলে তার প্রধান মুখ কে হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি।