বাজোয়াপ্ত হওয়া সেই মাদক। ছবি: সংগৃহীত।
দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ হাজি আলির নির্দেশেই গুজরাতে ৩৩০০ কেজির মাদক ঢুকেছিল। যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১৩০০ কোটি টাকা। এমনই দাবি করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সাগর মন্থন’ নামে একটি অভিযান চালায় এনসিবি। এ ক্ষেত্রে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নৌসেনা এবং গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) সাহায্য নেয়।
মাদক-সহ পাঁচ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। তাঁদের মধ্যে এক জন পাকিস্তানি এবং চার জন ইরানি। ধৃতদের জেরা করে এনসিবি জানতে পেরেছে, এই মাদক পাচারে পাকিস্তানের বড় ভূমিকা রয়েছে। এনসিবি আরও জানতে পেরেছে, এই মাদক পাচারে দাউদ ঘনিষ্ঠ হাজি আলির হাত রয়েছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও যখন মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছিল এনসিবি, তখনও হাজি আলির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। এনসিবির ডিডিজি জ্ঞানেশ্বর সিংহ বলেন, “ধৃত পাক নাগরিক মহম্মদ চেরিজেকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ মাদক এসেছে হাজি মহম্মদের নির্দেশেই। দাউদ ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি কখনও হাজি সেলিম, কখনও হাজি মহম্মদ, কখনও আবার হাজি আলি নামে নিজের পরিচয় ব্যবহার করেছেন।” জ্ঞানেশ্বরের দাবি, এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, ভারতে মাদক পাচারের পাকিস্তানের বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।
জ্ঞানেশ্বর আরও জানিয়েছেন, ধৃত পাঁচ জন ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁরা সেখান থেকে সমুদ্রপথে ভারতে ঢোকে। তাঁর কথায়, “এখন এটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই বিপুল পরিমাণ মাদক কার কাছে এসেছিল? খুব শীঘ্রই সেই বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসবে।”