ফাইল ছবি।
পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা নিয়ে যখন চন্নী-সিধুর মধ্যে জল্পনার পারদ চড়ছে, তখন সিধুকে নিশানা করে তোপ দাগলেন তাঁরই দিদি। চণ্ডীগড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সিধুর দিদি সুমন তুর দাবি করলেন, ‘‘সম্পত্তির লোভে নিজের অসুস্থ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন নভজ্যোৎ।’’ বর্তমানে আমেরিকা নিবাসী সুমনের অভিযোগ, তাঁর ভাই আসলে এক জন নিষ্ঠুর মানুষ।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ১১৭টি আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় ভোট। তার আগে সিধু সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাঁর দিদি সুমন তুর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে সমস্ত তথ্য প্রমাণ আমার হাতে আছে।’’
অতীতের ঘটনা তুলে ধরে তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমার বাবা মৃত্যুর সময় বাড়ি, পেনশন-সহ সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিধু টাকার লোভে ১৯৮৬-তে আমার অসুস্থ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সিধুর কাছে কোনও টাকা ফেরত চাই না। সত্যিটা জানাতে চাই। আমার মায়ের জন্য সুবিচার চাই। টাকার লোভে আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে সিধু।’’
সুমন তুরের আরও অভিযোগ, তিনি গত ২০ জানুয়ারি সিধুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিধু দরজা খোলেননি। সিধু তাঁকে ফোনেও ব্লক করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ সুমনের। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার বয়স সত্তর পেরিয়েছে। এই সময় এ সব প্রকাশ্যে আনার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কিন্তু মনে হয়েছিল, সত্যিটা প্রকাশ্যে আসা উচিত। মাকে সুবিচার দিতেই এই বয়সে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।’’ সুমন আরও দাবি করেন, ১৯৮৯ সালে একটি রেল স্টেশনে প্রয়াত হন তাঁদের মা।
যদিও এই অভিযোগের ব্যাপারে সিধুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পঞ্জাবে ভোটের ঠিক আগে এই অভিযোগ নতুন করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে পঞ্চনদের দেশে।