ফাইল ছবি।
পূর্ব দিল্লির কস্তুরবা নগরে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন গণধর্ষিতা তরুণীকে অপহরণ করে, তাঁর চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনায় তোলপাড় দেশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ন’জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সাত জন মহিলা। পাশাপাশি দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ককেও আটক করেছে পুলিশ।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের টুইট করা ভিডিয়োয় এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়। স্বাতী দিল্লি পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। তার পরই এই গ্রেফতার। ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বেআইনি মদ ও মাদকের কারবার সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ ছিল কি না, তা-ও দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
এ ছাড়া, মোবাইল ভিডিয়ো ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, অধরা অভিযুক্তদের খোঁজে পাঁচটি দল দিবারাত্র তল্লাশি চালাচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে তারা গ্রেফতার হতে পারে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পূর্ব দিল্লির কস্তুরবা নগরে ওই তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ ও বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর তাঁকে জুতোর মালা পরিয়ে রাস্তায় জোর-জবরদস্তি হাঁটানোর অভিযোগ রয়েছে কয়েক জন মহিলার বিরুদ্ধে। শুধু হাঁটানোই নয়, ওই সময় তরুণীর আশেপাশে থাকা মহিলারা উল্লাসে চিৎকার করছিলেন, এমন ছবিও দেখা গিয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয়।
অভিযোগ, বছর কুড়ির ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের পারস্পরিক গোলমালের মধ্যেই আত্মঘাতী হন ওই যুবক। এর পর মৃত যুবকের কাকা তরুণীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করেন। এবং তরুণীর সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ দিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আত্মঘাতী যুবকের মৃত্যুর জন্য ওই তরুণীকেই দায়ী করে তাঁর উপর চড়াও হন মৃত তরুণের প্রতিবেশী মহিলারা। গণধর্ষিতা তরুণীর মাথা মুড়িয়ে, গলায় জুতোর মালা পরিয়ে, মুখে কালি লেপে রাস্তায় ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে সেই মহিলাদের বিরুদ্ধে।