প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের ভোট প্রচারে এ বার অস্কার জয়ী গান নাটু-নাটু। তবে যে হেতু বিজেপির প্রচার, তাই নাটু-নাটু পাল্টে গিয়েছে মোদী-মোদী-তে। যেখানে গানের ভিডিয়োয় সরকারের গত পাঁচ বছরের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
সদ্য অস্কার পেয়েছে নাটু-নাটু গানটি। যার জন্য গোটা দলকে সে সময়ে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার সেই আরআরআর সিনেমার ওই জনপ্রিয় গানকে নিজেদের ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। যেখানে ‘নাটু নাটু’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে মোদী-মোদী শব্দটি। সিনেমার দুই নায়কের মতো নাচছেন বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। গানের সঙ্গে পিছনে চলতে থাকা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে গত পাঁচ বছরে শিবমোগ্গা বিমানবন্দর, বেঙ্গালুরু-মাইসুরু হাইওয়ে, বেঙ্গালুরু মেট্রো। পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কী ভাবে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ফায়দা কর্নাটকবাসী পেয়েছেন তা-ও তুলে ধরা হয়েছে ভিডিয়োয়। প্রচারের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় গানকে বেছে নেওয়াটা নতুন নয়। অতীতে ২০০৯ সালে ‘স্লামডগ মিলিয়োনেয়ার’-এ ‘জয় হো...’ গানের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন এ আর রহমান। সে বছরের লোকসভা নির্বাচনে সেই গানের সুরেই ‘জয় হো কংগ্রেস’ বলে প্রচারে নামেন তৎকালীন শাসক দলের মনমোহন সিংহ-সনিয়া গান্ধীরা।
গানের পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথকে প্রচারে পাঠানোর দাবিতে বারে বারে ফোন আসছে বিজেপির সদর দফতরে। গত কাল উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সঙ্গে ‘সংঘর্ষে’ মারা গিয়েছে কুখ্যাত অপরাধী আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ। এতে আদিত্যনাথের টিআরপি কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সূত্রের মতে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে ডাক পড়ছে যোগীর। যোগীর পাশাপাশি কট্টর নেতা হিসাবে যাকে কর্নাটকের বিজেপি দেখাতে চাইছে, তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। পিছিয়ে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। চাহিদার প্রশ্নে তাঁর স্থান তৃতীয়। অপ্রত্যাশিত ভাবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিজেপির এক নেতার কথায়, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিদেশে যে ভাবে তিনি ভারতের হয়ে সুর চড়িয়েছেন তা দেশবাসী নজর করেছেন। কর্নাটকের শিক্ষিত মানুষের মধ্যে জয়শঙ্করের প্রভাব রয়েছে। শহুরে, শিক্ষিত মানুষ জয়শঙ্করকে শুনতে চাইছেন।
কাল নববর্ষ। তার পরেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। সূত্রের মতে, দক্ষিণের এক মাত্র রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রশ্নে খোদ নরেন্দ্র মোদী নিজে দায়বদ্ধ। আগামী ২৫ দিনে ডজন খানেকের বেশি বার সে রাজ্যে প্রচারে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।