Kumbh Mela

কুম্ভ মেলার আগে নর্দমার জল মিশছে গঙ্গায়! উদ্বিগ্ন জাতীয় পরিবেশ আদালত, স্নান করলেই ব্যাধির শঙ্কা

প্রয়াগরাজের নিকাশি বর্জ্য গঙ্গায় মেশা বন্ধ করতে এখনই পদক্ষেপ করতে হবে। না হলে কুম্ভ মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৪
Share:

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় এসে গঙ্গায় স্নান করছেন পুণ্যার্থীরা। —ফাইল চিত্র।

জানুয়ারির মাঝামাঝি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলা শুরু হচ্ছে। গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমে প্রচুর পুণ্যার্থী ভিড় করবেন। গঙ্গাস্নান করবেন। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় পরিবেশ আদালত। গঙ্গার দূষিত জল পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পরিবেশ আদালত। আদালত জানিয়েছে, নিকাশি বর্জ্য প্রয়াগরাজের গঙ্গায় ফেলা এখনই বন্ধ না হলে পূর্ণকুম্ভ মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের উপর তার প্রভাব পড়বে।

Advertisement

সম্প্রতি প্রয়াগরাজের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। তাতে মামলাকারীর দাবি, প্রয়াগরাজের রসুলাবাদ থেকে সঙ্গম পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে ৫০টি নর্দমা সরাসরি গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে। এ দিকে সামনেই প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলা রয়েছে। লাখ লাখ পুণ্যার্থী এই সময়ে গঙ্গাস্নান করতে আসেন। ওই দূষিত জলে স্নান করলে পুণ্যার্থীদের একাধিক শারীরিক ব্যাধি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা জাতীয় পরিবেশ আদালতের।

প্রয়াগরাজে প্রতি ছ’বছর অন্তর কুম্ভমেলা হয়। পর্যায়ক্রমে অর্ধকুম্ভ এবং পূর্ণকুম্ভ মেলা হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ। আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমে পূর্ণকুম্ভ মেলা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রয়াগরাজে গঙ্গাদূষণ নিয়ে এর আগেও জাতীয় পরিবেশ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে প়ড়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। আগের এক শুনানিতে প্রয়াগরাজের ৩৪টি নিকাশি নালা নিয়ে বিশেষ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। ওই ৩৪টি নিকাশি নালা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি লিটারের বেশি নোংরা জল গঙ্গায় মেশে।

Advertisement

কুম্ভ মেলার জন্য অনেক দিন ধরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে গঙ্গাদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের জন্য বলছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। জুলাই মাসেও আদালত নির্দেশ দেয়, কুম্ভের আগে নিকাশি বর্জ্য যতটা সম্ভব কমানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু পাঁচ মাস পরেও পরিস্থিতি দেখে সন্তুষ্ট নয় জাতীয় পরিবেশ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement