বাজেটে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে চান মোদী

বাজেটের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, তা মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ আজ প্রকাশ্যেই সব দলের সাংসদের কাছে পেশ করেছেন।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাজেটের মাধ্যমে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর অঙ্ক সাজাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, ‘‘২০১৪ সালের থেকে সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক আরও ৫-৬ শতাংশ বাড়াতেই হবে। আর কালকের বাজেট হল তারই প্রথম ধাপ। নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বাজেট যেমন সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের কাছেও।’’

বাজেটের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, তা মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ আজ প্রকাশ্যেই সব দলের সাংসদের কাছে পেশ করেছেন। সংসদ ভবন চত্বরে নতুন সাংসদদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘বাজেট আসলে কী? ঈশ্বর মেধা ও পরিশ্রম করার ক্ষমতা দিয়েছেন। যাঁদের কাছে বেশি সম্পদ আছে, তাঁদের থেকে কর নিয়ে তা পিছিয়ে পড়া মানুষদের কাজে লাগানোটাই বাজেটের কাজ। গ্রামে কৃষির উন্নয়ন হোক বা শহরে পরিকাঠামোর— সবার উৎস বাজেট। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘শ্রেষ্ঠ ভারত’ নির্মাণের কাজে সব দলের নেতাদেরই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সহযোগিতা করা উচিত।’’

Advertisement

গত কাল থেকেই দলের সাংসদদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা জয়ের পর অবশ্য তিনি বলেছেন, এ বারের ভোট জাত-পাতের সব সমীকরণ মুছে দিয়েছে। কিন্তু কখনও তফসিলি জাতি, কখনও ওবিসি সাংসদদের পৃথক গোষ্ঠী করেই বৈঠক করছেন তিনি। এমনই এক বৈঠকে মোদী আজ মন্ত্রী-অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে নিজ নিজ কেন্দ্রে মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দেন সাংসদদের। এই সূত্র ধরেই মোদী বলেন, ‘‘দেশসেবার জন্য সাংসদদের স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে। চল্লিশ পেরিয়ে গেলেই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে।’’

বিজেপির এক নেতার কথায়, ভোট শেষ হতেই যে ভাবে মোদী-শাহ জুটি পরের ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাতে স্পষ্ট নিজেদের জনভিত্তি বৃদ্ধির জন্য এখন থেকেই তৎপর তাঁরা। ফলে এই বাজেটেও গ্রামীণ ও কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে বাড়তি জোর থাকবে। ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি শহরের আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণেও নজর রাখা হবে। আর দলের সাংসদ ও নেতাদের বলা হবে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সে সব পৌঁছে দেওয়ার কথা। দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অমিত শাহ প্রথমে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন। যার অর্থ আরও ২ কোটির বেশি নতুন সদস্য বিজেপিতে যোগ করা। কিন্তু নির্দেশ এসেছে, এখন সেটিও ছাপিয়ে যাওয়ার।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement