ফাইল চিত্র
অমিত শাহ বোলপুরে ‘রোড শো’ করে সবে ফিরেছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই, ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বাংলার মনীষীদের স্মরণ করেছেন। তাঁদের উদ্ধৃত করেছেন। রাজনীতিকরা মনে করছেন, বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা বাংলার সঙ্গে তাঁদের আত্মিক যোগাযোগ প্রমাণ করতে চাইছেন। সেই দিক থেকে বিশ্বভারতীতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০১৮-তেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়েছেন। আম্রকুঞ্জের সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানের ঠিক আগে, আজ, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হল পৌষ উৎসব। সোমবার রাতে তার অনুষ্ঠান সূচি প্রকাশ করেছে শান্তিনিকেতন কর্মিমণ্ডলী। মঙ্গলবার রাত ৯টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্য দিয়ে ১২৬তম পৌষ উৎসবের সূচনা হয়েছে। বুধবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে গৌরপ্রাঙ্গণে আয়োজিত হবে বৈতালিক এবং ৬টায় শান্তিনিকেতন গৃহে বাজবে সানাই। ৭.৩০ মিনিটে ছাতিমতলায় আয়োজিত হবে বিশেষ উপাসনা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ছাতিমতলা ও উদয়ন গৃহে আলোকসজ্জার অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: কাল কাঁথির সভায় আমন্ত্রণ শিশিরকে, জানালেন, অসুস্থ তাই থাকছেন না
আরও পড়ুন: নেপালে গভীর সঙ্কট, দলীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরলেন ওলি
বৃহস্পতিবার, ৮ পৌষ বিশেষ ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। ওই দিনই বিশ্বভারতী শতবর্ষে পদার্পণ করছে। সকাল ৬টায় সানাই সহযোগে উৎসবের সূচনার পরে সকাল ১০টায় হবে প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠান। দুপুর ৩টেয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অনলাইনেই আয়োজিত হবে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ স্মারক বক্তৃতা দেবেন সাহিত্যিক নবকুমার বসু। শুক্রবার উপাসনা গৃহে খ্রিস্টোৎসব পালনের মধ্য দিয়েই পৌষ উৎসবের সমাপ্তি হবে। কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য জানান, করোনাবিধি মেনে শ্রদ্ধার সঙ্গেই হবে পৌষ উৎসব।