বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে (বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: পিটিআই।
রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদীকে অনুরোধ করেছেন মুর্মু।
সব কিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে এনডিএ। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার, ৮ জুন মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন। তার আগে পূর্ববর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
মঙ্গলবার দেশের ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন মোদী, অমিত শাহেরা। একই সঙ্গে দিল্লিতেই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদেরও।
এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হবে মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে কোনও একটি শরিক দলও যদি বেঁকে বসে, তবে সমীকরণ বদলে যেতে পারে। অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদী। চলতি সপ্তাহেই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রেখেছেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবারই বৈঠকে বসেন মোদী। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। এটিই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানে শনিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।