কর্নাটকের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: পিটিআই।
দক্ষিণ ভারতের একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকে আর মাস তিনেকের মধ্যেই বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরানোয় সেই রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা ‘বিক্ষুব্ধ’ হয়ে উঠেছেন বলে দলের অন্দরের খবর। এই পরিস্থিতিতে কর্নাটক সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইয়েদুরাপ্পার।
প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা ইয়েদুরাপ্পার জেলা শিবমোগ্গায় সোমবার পদ্মের আকৃতিতে তৈরি নয়া বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন মোদী। ঘটনাচক্রে সোমবারই ছিল চার বারের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার জন্মদিন। কর্মসূচিতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে মোদী বলেন, ‘‘গত পাঁচ দশক ধরে জনতার কাজ করছেন ইয়েদুরাপ্পাজি। একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করছেন। আজ তাঁর জন্মদিন। আমি সকলকে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন প্রবীণ নেতার সম্মানে নিজেদের মোবাইলের আলো জ্বালান।’’
চলতি মাসেই এক সাক্ষাৎকারে ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, দলের কয়েক জন কেন্দ্রীয় নেতার মেরুকরণের অঙ্ক মেনে ‘টিপু বনাম সাভারকর তত্ত্বে’ তিন আগ্রহী নন। প্রভাবশালী ওই লিঙ্গায়েত নেতা বলেন, ‘‘আমি চাই ভোট হবে উন্নয়ন এবং দুর্নীতির প্রশ্নে।’’ অথচ তার কয়েক দিন আগের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্নাটক সফরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোট হবে টিপু সুলতান বনাম হিন্দুত্বের প্রশ্নে। কর্নাটক বিজেপির সভাপতি নিতিন কটিলও জানিয়েছিলেন, টিপু বনাম সাভারকর অঙ্কে ভোট হবে কর্নাটকে।
মোদী সোমবার শিবমোগ্গায় কর্নাটকের উন্নয়নে ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারের’ ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি, ইউপিএ সরকারের আমলে ‘এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্নীতি হয়েছিল’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের পরে কর্নাটকে কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জেডি(এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী। কিন্তু শাসক জোটের কয়েক জন বিধায়কের দলত্যাগের জেরে গরিষ্ঠতা হারিয়ে ২০১৯-এ ইস্তফা দেন কুমারস্বামী। মুখ্যমন্ত্রী হন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে ২০২১-এর জুলাইয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী করে বাসবরাজ বোম্মাইকে।