গুজরাত হাই কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি সনিয়া জে গোকানি বিচারপতিদের সম্বোধনে ব্রিটিশ জমানার নিয়ম বদলের পক্ষে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মাত্র ৯ দিনের জন্য গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সল্পমেয়াদের মধ্যেই বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রথা বাতিলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সওয়াল করলেন বিচারপতি সনিয়া জে গোকানি। বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলে সম্বোধন করায় প্রকাশ্যে আপত্তি জানালেন তিনি।
শুক্রবার একটি মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি সনিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। সে সময় এক আইনজীবী ওই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সন্দীপ এন ভট্টকে ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন করেন। সে সময় সনিয়া বলেন, ‘‘বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলার কোনও প্রয়োজন নেই। ‘স্যর’ বলাই যথেষ্ট।’’ প্রসঙ্গত, চার বছর আগেই রাজস্থান হাই কোর্ট একটি নোটিস জারি জানিয়েছিল, ‘‘বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’-এর বদলে ‘স্যর’ সম্বোধন করতে হবে। এ বার সেই পথে হাঁটার বার্তা দিল গুজরাত হাই কোর্ট।
গুজরাত হাই কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সনিয়া শনিবারই অবসর নিচ্ছেন। ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে তিনি জেলা জজ হিসাবে প্রথম কার্যভার গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে গুজরাত হাই কোর্টে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৩-তে তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি করা হয় হাই কোর্টে। বর্তমান বিচারপতিদের মধ্যে তাঁর অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমারকে পদোন্নতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করার পর বিচারপতি সনিয়াকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বিচারপতিদের সম্মান জানানোটা জরুরি হলেও সে জন্য তাঁদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলে সম্বোধন করাটা বাধ্যতামূলক নয়।