প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) গোষ্ঠীভূক্ত রাষ্ট্রনেতাদের ভিডিয়ো সম্মেলনে আজ নাম না করেই চিন ও পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এসসিও গোষ্ঠীতে রয়েছে এই দুটি দেশই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এই গোষ্ঠীর প্রতিটি দেশেরই উচিত একে অন্যের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।’’ পাল্টা বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্টও। শি চিনফিং-এর কথায়, ‘‘আমাদের উচিত পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সৌহার্দ্য বাড়ানোর চেষ্টা করা। বিবাদ ও মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে কমানো যেতে পারে।’’
পূর্ব লাদাখে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার পর ভিডিয়োর মাধ্যমে এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদী ও চিনফিং। তবে, সরাসরি লাদাখ প্রসঙ্গ আসেনি কারও বক্তৃতাতেই। ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রয়োজনীতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার বাইরে মোদীকে কোনও রকম আক্রমণে যেতেও দেখা যায়নি। বরং তিনি বলেছেন, ‘‘এসসিও-র দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে পরস্পরের মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি, একে অন্যের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মেনে চলা উচিত।’’ একই সঙ্গে মোদীর মন্তব্য, ‘‘এসসিও সম্মেলনে অপ্রয়োজনীয় ভাবে দ্বিপাক্ষিক বিষয় টেনে আনা হয়। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।’’
এটা ঘটনা যে ভারত ও পাকিস্তান একই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে থাকলে (যেমন সার্ক) কার্যত তা পরিণত হয় দ্বিপাক্ষিক মল্লযুদ্ধের মঞ্চে। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড চিনা সেনা দখল করে রয়েছে গত কয়েক মাস ধরে। বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে দফায় দফায় সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক চলছে। কিন্তু অতীতে পাকিস্তানকে নিয়ে যেমন প্রকাশ্যে বারবার আক্রমণাত্মক হতে দেখা গিয়েছে মোদীকে, চিন সম্পর্কে তাঁর মুখ থেকে সাম্প্রতিক সঙ্কট নিয়ে সরাসরি কোনও তির্যক মন্তব্য শোনা যায়নি।
বহুপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় অক্ষকে শক্তিশালী করার পক্ষে আজ সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তুলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রসঙ্গও। মোদীর দাবি, অতিমারি কবলিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ভাইরাসের টিকা সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।