নরেন্দ্র মোদী। ছবি—পিটিআই।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ন্যাসকম’-এর অনুষ্ঠানে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল উদ্যোগ নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, সরকারের ডিজিটাল প্রশাসনের কারণে আজ ভারতের দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্নীতিহীন পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, দেশে কালো টাকা তত কমছে বলে মন্তব্য করেছেন মোদী।
তাঁর এই মন্তব্যের পর তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, মোদী সরকার প্রথম বার ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একশো দিনের মধ্যে বিদেশি ব্যাঙ্কে রাখা এ দেশের সমস্ত কালো টাকা ফিরিয়ে আনবে। কিছুই হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, “নোটবাতিলের পরেও বলা হয়েছিল, কালো টাকা থেকে মুক্ত পাবে অর্থনীতি। পাশাপাশি জাল টাকা ও সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অর্থের জোগানও বন্ধ হবে। আমরা সবাই জানি যে এ সব কোনওটাই বাস্তবে ঘটেনি। শুধু বক্তৃতায় চিঁড়ে ভেজে না। মাটিতে দাঁড়িয়ে কিছু করে দেখাতে হয়। সে কাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদী সরকার।”
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমরা ক্ষমতা দখলের জন্য কখনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিইনি, দেবও না। মোদীজিই বরং লোকসভা ভোটের আগে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে সকলের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার। কিন্তু পরে নোটবন্দি করে সাধারণ মানুষের টাকায় তাঁর বন্ধু শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করেছেন তিনি।’’
আজ মোদী অবশ্য ন্যাসকম-এর অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা মঞ্চকে (ভিডিয়ো মাধ্যমে) ব্যবহার করে নিজের সরকারের প্রচার করতে পিছপা হননি। তাঁর কথায়, “গত ছ’বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরিদ্র ভারতবাসীকে শক্তিশালী করেছে। নগদ নির্ভর সমাজ ক্রমশ ডিজিটাল অর্থব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে।” তাঁর কথায়, “আজ গরিবের হাতে ন্যায্য অর্থের পাই-পয়সাটুকুও পৌঁছে যাচ্ছে। মাঝপথে তা ফাঁক দিয়ে গলে যেতে পারছে না।” কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগে সরকারের ক্রয় নীতি নিয়ে কত প্রশ্ন উঠত। আমরা আসার পর গোটা বিষয়টিতে স্বচ্ছতা এসেছে। এখন সরকারি টেন্ডারও অনলাইনে হচ্ছে। কর আদায়ের ক্ষেত্রেও আমরা অফলাইন আদানপ্রদান কমিয়ে আনছি।”