ছবি: পিটিআই।
কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর দল ও সরকারের বিরুদ্ধে। আর আজই সংবিধান মেনে চলার জন্য দেশের রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপালদের পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা বলছেন, একের পর এক রাজ্যে যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা দখল করতে নেমেছে যাঁরা, তাঁরাই এখন সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন।
দিল্লিতে আজ রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপালদের সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭০ বছর পূর্তি পালন করছি আমরা। এই সময়ে রাজ্য সরকারগুলি ও রাজ্যপালদের সংবিধানের মূল দিকগুলি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে হবে। নাগরিকদের দায়িত্ব কোথায়, তা বোঝাতে হবে।’’ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য রাজ্যপালদের পরামর্শ দেন তিনি। মোদী বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কাজ করাটা রাজ্যপালদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। তফসিলি জাতি, জনজাতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, মহিলা এবং যুব সমাজের উন্নতিতে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার জন্য রাজ্যপালদের বলেন তিনি। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ ও সরকারি প্রকল্পগুলিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করার উপরে জোর দেন।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। মোদী আজ বলেন, রাজ্যপালদের সাধারণ মানুষের কথা শুনতে হবে। অভাব অভিযোগ শুনে তাঁদের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা শোনাটা রাজ্যপাল, উপরাজ্যপালদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন— যে সব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে জোর দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যপালেরা যে হেতু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তাঁরা যাতে দেশ গঠনের ভাবনা গড়ে তুলতে যুব সমাজকে উৎসাহিত করেন, সেই পরামর্শ দেন মোদী।
রাজ্যপাল সম্মেলনে নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের উপরাজ্যপালেরা ছিলেন। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালও। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হাজির ছিলেন।