—ফাইল চিত্র
সামনেই অসমে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী কাল অসম সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে আজ তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টাদশ সমাবর্তনে ভিডিয়ো-বক্তৃতায় তিনি বিভিন্ন উদাহরণে কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন নবীন ভোটারদের সামনে।
গাব্বায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহাকাব্যিক জয়কে উদাহরণ হিসেবে ছাত্রদের সামনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনভিজ্ঞ, আঘাতে জর্জরিত তরুণ ভারতীয় ক্রিকেট দল তাদের অদম্য জেদে বিশ্বের সেরা টেস্ট দলকে হারিয়েছে। আবার অতীতে অসমের অনেক তরুণ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। অতীতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, বর্তমান ক্রিকেট দলের তারুণ্যের বীরগাথাকে হাতিয়ার করে আজকের ছাত্রদের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তুলতে হবে। আজকের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের কাজের সুফলকে হাতিয়ার করেই দেশ ১০০তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে। তাঁর মতে, ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পুরোটাই চালিত হবে ডিজিট্যাল মাধ্যমে। সেই রূপান্তরের জন্যে দেশকে তৈরি করতেই কাজ করছে ‘নতুন শিক্ষানীতি-২০২০’। তিনি ছাত্রদের নতুন উদ্ভাবন ক্ষমতার উপরে জোর দিয়ে বলেন, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন করা স্বচ্ছ পানীয় জলের প্রযুক্তি রাজ্যে ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পকে প্রভূত সাহায্য করেছে।
করোনার দেশীয় প্রতিষেধক তৈরি করা ও করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের অভূতপূর্ব সাফল্য।
এ দিকে আগামীকাল শিবসাগরে মোদীর সভা বয়কটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। শিবসাগর জেলায় ডাকা হয়েছে বন্ধ। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, আসু, অসম সংগ্রামী যুব মঞ্চরা দাবি করছে, বিশেষ সাহায্যপ্রাপ্ত রাজ্যের তালিকা থেকে অসমকে বাদ দিয়ে, অসমের সম্পদ বহিরাগতদের হাতে তুলে দিয়ে, অসমবাসীর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চাপিয়ে, বৃহৎ নদীবাঁধ গড়ে, বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ করে, কাগজকলের পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, ছয় জনজাতিকে এখনও এসটি মর্যাদা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একের পর এক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন। তাঁর অসমে সভা করার অধিকার নেই।