(বাঁ দিক থেকে) মিহির শাহ এবং দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিএমডব্লিউ। — ফাইল চিত্র।
বিএমডব্লিউকাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত মিহির শাহের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করে আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসে চিঠি দিল মুম্বই পুলিশ। গত ৬ জুলাই রাতে মিহির এবং তাঁর দুই বন্ধু জুহুর এক পানশালায় দীর্ঘ ক্ষণ কাটান। সূত্রের খবর, তখনই হুইস্কির ১২টি বড় পেগ শেষ করেছিলেন তাঁরা। পুলিশের আতশকাচের নীচে রয়েছে, এই সব কিছুই। এমনকি, মিহিরের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল।
পুলিশ ইতিমধ্যেই মিহিরের বন্ধু, জুহুর বারের কর্মচারী-সহ ১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ফলেই মুম্বইয়ের ওরলিতে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন মিহির, এমনই দাবি পুলিশের। সেই দাবির সপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী) নেতা রাজেশ শাহের পুত্র মিহির। গত রবিবার ভোরে ওরলিতে গাড়ি চালানোর সময়ে বিএমডব্লিউ নিয়ে তিনি ধাক্কা মারেন একটি স্কুটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। সেই ঘটনার পর থেকে তিন দিন ফেরার ছিলেন মিহির। তার পর মুম্বই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর মিহিরের বাবা রাজেশকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে। তাঁকে দলের সব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশ তাঁকে ঘটনার পরেই গ্রেফতার করে। যদিও ২৪ ঘণ্টার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মিহির। কোথায় লুকিয়ে ছিলেন তিনি, তা খুঁজতে পুলিশের ৭২ ঘণ্টা লাগে। তাঁরই এক বন্ধুর ফোন ট্র্যাক করে রিসর্ট থেকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় মিহিরকে। সেখানে তিনি তাঁর মা, দুই বোন এবং বন্ধুর সঙ্গে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।
শনিবার রাতে এবং রবিবার ভোরে দুর্ঘটনার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টাই করছে পুলিশ। আবগারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তিন বন্ধু মিলে ১২ পেগ হুইস্কি শেষ করার অর্থ, এক এক জন প্রায় চার পেগ করে হুইস্কি খেয়েছিলেন শনিবার রাতে। এই পরিমাণ হুইস্কি খেলে যে কেউ অন্তত আট ঘণ্টা মত্ত অবস্থায় থাকেন। ওরলিতে বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনাটি এই সময়ের মধ্যেই ঘটেছিল। ফলে দুর্ঘটনার সময়ে মিহির যে মত্ত অবস্থাতেই ছিলেন, তাতে সন্দেহ নেই, দাবি পুলিশ এবং আবগারি আধিকারিকদের।