পঞ্জাবের খদুর সাহিবের জেলবন্দি সাংসদ তথা খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের খদুর সাহিবের জেলবন্দি সাংসদ অমৃতপাল সিংহের ভাই হরপ্রীত সিংহকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অভিযোগ, সাংসদের ভাই মাদক বহন করছিলেন। তাঁর ডোপ পরীক্ষার রিপোর্টও ইতিবাচক এসেছে বলে অভিযোগ।
হরপ্রীতকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে জালন্ধর পুলিশ। তাঁর সঙ্গে লাভপ্রীত সিংহ নামের আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই দু’জনের কাছ থেকে চার গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক (আইস ড্রাগ) পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্দীপ অরোরা নামের ওই যুবক মাদকের জোগানদার বলে অভিযোগ। এসএসপি অঙ্কুর গুপ্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
হরপ্রীত এবং লাভপ্রীত, উভয়েই অমৃতসরের বাসিন্দা। শুক্রবার একটি গাড়িতে তাঁরা যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই গাড়ি আটকায় পুলিশ। তল্লাশি চালানো হলে তাঁদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়। এর পর দু’জনের ডোপ পরীক্ষা করে পুলিশ। তার রিপোর্টও ইতিবাচক আসায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা দু’জন গাড়ির মধ্যে মাদক সেবন করেছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি লাইটার, আধপোড়া ২০ টাকার নোট এবং ফয়েল পেপার উদ্ধার করেছে। মাদক সেবনের কাজেই ওই উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। হরপ্রীতদের আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমৃতপালের বাবা তারসেম সিংহ। তাঁর অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে তাঁর পুত্রকে ফাঁসানো হয়েছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
হরপ্রীতের দাদা অমৃতপাল খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতা। তাঁকে খলিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং থানায় হামলা চালানোর অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই থেকে অসমের জেলে বন্দি তিনি। জেল থেকেই লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। জেতার পর সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছেন সাংসদ হিসাবে। একসময়ে পঞ্জাবে তিনি মাদকবিরোধী প্রচার চালিয়েছিলেন বলেও জানা যায়।