বন্যা পরিস্থিতি শোচনীয় অসমে। ছবি: পিটিআই।
অসমে বন্যা পরিস্থিতি এখনও শোচনীয়। ১২ লক্ষের বেশি মানুষ এখনও বন্যাকবলিত। জলের নীচে হাজার হাজার গ্রাম। শুক্রবার বন্যার কারণে নতুন করে ওই রাজ্যে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমে বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০। এখনও বেশ কিছু জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আগের চেয়ে অসমের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এখনও অসমের ২৪টি জেলার ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। জলের তলায় ২,৪০৬টি গ্রাম। ৩২ হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বহু মানুষ ঘরছাড়া। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এএসডিএমএ)।
এএসডিএমএ-র রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। তাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নগাঁও এবং জোরহাটে বন্যার জলে ডুবে এক জন করে মারা গিয়েছেন। এর ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৯০-তে। অসমের যে জেলাগুলি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে কাছার, ধুবড়ি, নগাঁও, ডিব্রুগড়, কামরূপ, গোলাঘাট, জোরহাট, মরিগাঁও, লখিমপুর, করিমগঞ্জ, দারাং, মাজুলি, তিনসুকিয়া অন্যতম।
এএসডিএমএ আরও জানিয়েছে, রাজ্যের অনেক জেলাতেই নদীর জল কমছে। কিন্তু নেমাটিঘাট, তেজপুর, ধুবড়ির মতো জায়গায় ব্রহ্মপুত্র এখনও বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। এ ছাড়া, বুরহিডিহিং নদী, দিসাং নদী, কুশিয়ারা নদীর জলও বিপদসীমার উপরে রয়েছে। এই সমস্ত নদী দু’কূল ছাপিয়ে প্লাবিত করেছে গোটা এলাকা।
অসমে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের ৩১৬টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বন্যায় বিপাকে পড়েছে রাজ্যের সাড়ে ছ’লক্ষের বেশি পশু। কাজিরাঙায় মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাইনো, ১৫০টি হগ ডিয়ার-সহ ১৮০টি পশুর। ১৩৫টি পশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।