এ দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে মুম্বইয়ের আইআইটিকে স্বীকৃতি দিল লণ্ডনের কোয়াককোয়ারেলি সাইমন্ডস (কিউএস) সংস্থা। সামগ্রিক পরিকাঠামোর ভিত্তিতে গোটা বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা করে থাকে ওই সংস্থা, যাকে প্রামাণ্য হিসাবে মেনে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের সেরা ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠান জায়গা পেয়েছে। ওই তালিকায় গোটা বিশ্বের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে স্থান পেয়েছে হরিয়ানার ও পি জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরের তুলনায় ক্রমতালিকায় উঠে এলেও, নেমে গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতি বছর গোটা বিশ্বের ১০০১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে থাকে কিউএস। যাতে গত তিন বারের মতো এ বারও ভারতের মধ্যে প্রথম হয়েছে মুম্বইয়ের আইআইটি। গোটা বিশ্বে তাদের স্থান ১৬২। এ ছাড়া প্রথম দু’শোয় স্থান পেয়েছে আইআইটি, দিল্লি (১৮২) এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (১৮৪)। প্রথম ৫০০র মধ্যে রয়েছে আইআইটি, মাদ্রাজ (২৭১), আইআইটি খড়্গপুর (২৮১), আইআইটি কানপুর (২৯১), আইআইটি রুরকি (৩৮৩), আইআইটি গুয়াহাটি (৪৯১)। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪৭৪ স্থানে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, সব মিলিয়ে তালিকায় থাকা এ দেশের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রমতালিকার উপরে উঠে এসেছে। সমাজ বিজ্ঞান ও কলা
বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও তালিকায় জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন মন্ত্রকের কর্তারা। তাঁদের মতে, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভারতে যে বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা এর থেকেই প্রমাণ। তৈরি হওয়ার দশ বছরের মধ্যে ওই তালিকায় প্রবেশ করল ওই সংস্থা। অন্য দিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে (৮০১-১০০০) বিভাগে, যা গত বারের চেয়ে ভাল। তবে এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারা স্থান পেয়েছে (৬৫১-৭০০) বিভাগে।