সচিন ওয়াজে। ছবি: সংগৃহীত।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে বলে দাবি করলেন ধৃত সচিন ওয়াজে। ওই মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হেফাজতে রয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। যদিও আদালতে শুনানি চলাকালীন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন ওয়াজে। তাঁর দাবি, এই মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
অম্বানী-মামলা ছাড়াও মুম্বইয়ের গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাতেও প্রধান অভিযুক্ত ওয়াজে। বুধবারই ওয়াজের বিরুদ্ধে বেআইনি প্রতিরোধ কার্যকলাপ আইন (ইউএপিএ)-এর ধারা চাপিয়েছে এনআইএ। বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানিতে এনআইএ-র দাবি, ওয়াজের বাড়ি থেকে ৬৪টি বুলেট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘সার্ভিস রিভলভারের জন্য ওয়াজেকে ৫ থেকে ৩০টি বুলেট দেওয়া হয়। তবে বাকি বুলেটের হিসাব দিতে পারছেন না তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আরও সময় চাইছি।’’
মনসুখের রহস্যমৃত্যুতেও ওয়াজে জড়িত বলে দাবি করেছেন ওই মামলায় তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে ওই মামলার তদন্ত করছিল মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। এটিএসের দাবি, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দু’জনের দেখা হয়েছিল বলে তাঁদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। প্রসঙ্গত, অম্বানীর মুম্বইয়ের বাড়ির অদূরে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিক হিসাবে মনসুখের নাম ভেসে উঠেছিল। পরে জানা যায় যে ওই গাড়িটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। এর পর ৫ মার্চ মুম্বইয়ের কাছে একটি খাঁড়িতে মনসুখের দেহ উদ্ধার হয়। গোটা ঘটনায় মুম্বই পুলিশের ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ ৪৯ বছরের ওয়াজের নাম উঠে আসে। অম্বানী-কাণ্ড ছাড়াও মনসুখের মামলার দায়িত্বও বর্তায় এনআইএ-র হাতে।
বৃহস্পতিবার আদালতে এনআইএ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অম্বানী মামলায় ৫টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওয়াজের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টেরও অভিযোগ এনে এনআইএ-র দাবি, ‘‘ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য অভিযুক্তের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাজেয়াপ্ত করা গাড়িগুলি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’’
আদালতে এনআইএ-র অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াজে। তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে দেড় দিন আমি তদন্তের দায়িত্বে ছিলাম, তাতে আমি যথাসাধ্য সাহায্য করেছি। আমাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠাবেন না।’’