ফাইল ছবি।
জানুয়ারি থেকে জুন। ২০২২-এর প্রথম ছ’মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে শতাধিক জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে অন্তত ৩০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। রবিবারই পুলওয়ামায় সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিন লস্কর জঙ্গির। এর ফলে এ বছর শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হল উপত্যকায়।
সূত্রের খবর, উপত্যকা জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযানে আরও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলছে সেনা। যদিও সেনা মনে করছে, উপত্যকার তরুণদের ছলেবলে নিজেদের দিকে টানার ব্যাপারে এখনও সফল হচ্ছে জঙ্গি নেতারা। ফলে, বিদেশি জঙ্গির পাশাপাশি সেনার গুলির মুখে প্রাণ হারাচ্ছে স্থানীয় বিপথগামী যুবকরাও।
সেনা মনে করছে, এখনও কাশ্মীর উপত্যকায় অন্তত ১৫৮ জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। তাদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই লস্কর-ই-তৈবার। তাদের মতে ৮৩ জন লস্কর জঙ্গি উপত্যকায় লুকিয়ে। তার পাশাপাশি ৩০ জৈশ জঙ্গি ও ৩৮ জন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সঠিক সময়ের অপেক্ষায় উপত্যকায় বসে প্রহর গুনছে।
গত কয়েক দিন ধরে, নিরাপত্তা বাহিনী যে ভাবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে, তাতে চাপে পড়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এক ডজনেরও বেশি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির নতুন করে চালু করেছে পাক সেনা। উরি ও কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় সীমান্ত টপকে ভারতে ঢোকার জন্যও বহু জঙ্গি পাক সেনার সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা করছে। আসন্ন অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানোই এখন আইএসআইয়ের লক্ষ্য বলেও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে।