মুম্বইয়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি এবং মুম্বই— দুই শহরে একই সঙ্গে বর্ষা। আবহবিদেরা মনে করছেন, এই ঘটনা বেশ বিরলই বটে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, খাতায়কলমে যে সময়ে মুম্বইয়ে বর্ষা আসার কথা, এ বছর তার থেকে দু’সপ্তাহ পরে এল। আর দিল্লিতে বর্ষা এল নির্ধারিত দিনের দু’দিন আগে। দাবদাহ থেকে রেহাই পেল রাজধানী। যদিও মুম্বই এর মধ্যেই বেহাল। বাণিজ্য নগরীতে বৃষ্টির জেরে প্রাণহানি হয়েছে। ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে শনিবার মৃত্যু হয়েছে দুই সাফাইকর্মীর। ঘাটকোপারে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে আটকে তিন জন।
মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘‘দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এখন সক্রিয়। মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্রেই ঢুকে পড়েছে। মধ্যপ্রদেশে, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানার একাংশ, গুজরাত, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মুতেও বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী দু’দিন আরও এগোবে বর্ষা। দেশের বাকি অংশেও পৌঁছে যাবে।’’
শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বই শহরের বহু এলাকা। তার জেরে তীব্র যানজট রাস্তায়। দুর্ভোগ যাত্রীদের। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইতে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার ঘাটকোপরে একটি বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সেখানে আটকে পড়েছেন তিন জন। দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, গোভান্দিতে বর্ষার জল নিষ্কাশনের জন্য নালা সাফ করছিলেন দুই সাফাইকর্মী। তাঁরা ম্যানহোলে পড়ে যান। খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, অল্পের জন্য জুহুতে প্রাণে রক্ষা পায় দু’টি শিশু। তারা সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল। সঠিক সময়ে এসে প্রাণ বাঁচান নিরাপত্তারক্ষীরা।
রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মুম্বইতে বৃষ্টির কারণে জারি ছিল কমলা সতর্কতা। তার পর থেকে হলুদ সতর্কতা জারি। আন্ধেরি, মালাড, দাহিসর সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত। বেশ কিছু রাস্তায় জল জমে আটকে পড়েছে গাড়ি। মুম্বই পুরসভা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শনিবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ১১টি গাছ উপড়ে গিয়েছে। সাতটি শর্ট সার্কিটের ঘটনা হয়েছে।