মোরবীতে সেতু ভেঙে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
মোরবীতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল গুজরাত হাই কোর্ট। এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ আদালত।
গত ৩০ অক্টোবর মোরবীতে মাচ্ছু নদীতে শতাব্দীপ্রাচীন ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ভোটের আগে গুজরাতে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। সেতু সংস্কারকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা দাবি করেছে যে, ওই সংস্থাকে আড়াল করছে গুজরাতের বিজেপি সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নোটিস দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চেয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ নভেম্বর।
সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, সেতু ঠিকমতো সংস্কার না করেই জনসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়েছিল। যে সংস্থাকে সেতুর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই ‘ওরেভা’ আদতে ঘড়ি তৈরি করে। ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কেন এমন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হল, সে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার গুজরাতের ওয়াঙ্কানের শহরে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘মোরবীতে যা হয়েছে, দুঃখের। বহু শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। আপনাদের শিশুরও এই পরিণতি হতে পারত। তবে সবচেয়ে বেশি দুঃখের কথা হল, এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী যাঁরা, তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মোরবীতে শতাব্দীপ্রাচীন সেতু সংস্কারের জন্য মোট ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই ঝুলন্ত সেতু সংস্কারের জন্য মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল ওই সংস্থা। এমনকি, সেতু সংস্কার করা নিয়ে তেমন দক্ষ ছিল না ওই সংস্থা। আগামী ১ ডিসেম্বর গুজরাতে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে এই ঘটনায় হাই কোর্টের পদক্ষেপ আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।