ফাইল চিত্র।
এই বছরে দেশে স্বাভাবিক থাকবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। দিল্লির মৌসম ভবনের তরফ থেকে মঙ্গলবার সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবনের ভবিষ্যদ্বাণী, দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে সবচেয়ে বেশি, অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে।
বৃষ্টির পরিমাণ বেশি বা কম বিচারের জন্য এলপিএ (লং টাইম অ্যাভারেজ) বা দীর্ঘকালীন গড়কে মানদণ্ড হিসাবে ধরা হয়। শেষ দশ বছরে বৃষ্টির পরিমাণের গড় করে এই মানদণ্ড ঠিক করা হয়। সাধারণত বৃষ্টির পরিমাণ ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশের মধ্যে থাকলেই সেটিকে স্বাভাবিক বলা হয়। সেই গড়ের হিসাবেই দেখা গিয়েছে ৪ শতাংশের হেরফের দেশে বৃষ্টি হতে পারে ১০১ শতাংশের মতো। এ ক্ষেত্রে তাই স্বাভাবিক বর্ষাকালের কথাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিস্তারিত রিপোর্টে বলা হয়েছে উত্তর ভারতে ৯২ থেকে ১০৮ শতাংশ, বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ভারতে, দক্ষিণ ভারতে ৯৩ থেকে ১০৭ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে মধ্য ভারতে সর্বোচ্চ ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে ও উত্তর ভারতে সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে। ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের গড় হিসাব করলে দেখা যাবে, ভারতে স্বাভাবিক বৃষ্টির শতাংশের বিচারে ৮৮। তার থেকে নগন্য বেশি বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ বার। তবে তাকেও স্বাভাবিক বৃষ্টির বর্ষাকালও বলা যায়।
পাশাপাশি, আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেরল উপকূলে বর্ষা ঢুকতে দু’দিন দেরি করে তারিখটি হতে পারে ৩ জুন। তবে জলবায়ু এখনও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অনুকূলই রয়েছে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। ফলে দেশে খরা জাতীয় সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশেষত মূল কৃষিক্ষেত্র যে অঞ্চলগুলি,সেখানে হয় স্বাভাবিক অথবা স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।