ফাইল ছবি
ঋষি অরবিন্দ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর মন, শরীর ও আত্মার সার্বিক উন্নতির কথা বলতেন। ঋষি অরবিন্দের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটিতে আজ সকলেই সওয়াল করলেন, তাঁর এই অবিচ্ছেদ্য শিক্ষার ধারণা নতুন শিক্ষা নীতির অঙ্গ হওয়া উচিত। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমেও তা থাকা উচিত। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, ঋষি অরবিন্দর সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের সময় তাঁর ‘রেভল্যুশন’ ও ‘ইভল্যুশন’-এর দর্শনে জোর দেওয়া দরকার। তাঁর ‘নর’ থেকে ‘নারায়ণ’-এ আধ্যাত্মিক বিকাশের দিকেও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে।
চলতি সপ্তাহেই ঋষি অরবিন্দের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি গঠন হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সদস্য হলেও আজ কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। দু’দিন আগে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদ্যাপন কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কাউকে বলতে দেওয়া হয়নি। সে কারণেই মমতা অরবিন্দ কমিটির বৈঠকে থাকবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ঋষি অরবিন্দের সাধর্শতবর্ষে দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে অরবিন্দের জীবন ও দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করতে বলা যেতে পারে। তার পরে সেই গবেষণাপত্রগুলি এক সঙ্গে প্রকাশিত হতে পারে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ঋষি অরবিন্দর শিষ্য কিরীট জোশীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত আলোচনা হত। সরকারের নতুন শিক্ষা নীতি তৈরির সময় সেই আলোচনার প্রভাব পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, আগামী ১২ জানুয়ারি, জাতীয় যুব দিবসে পুদুচেরি থেকেই অরবিন্দর সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন শুরু হবে। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম পুদুচেরিতে গিয়ে তাঁর জীবন, দর্শন সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত হবে।