হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেকে নরেন্দ্র মোদী। শনিবার। ছবি সৈজন্য টুইটার।
কোনও রিপোর্টের ভিত্তিতে নয়, একেবারে সরেজমিনে করোনার টিকার অগ্রগতি এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেশের তিনটি শহরের টিকা প্রস্তুত কেন্দ্রে শনিবার পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমে আমদাবাদ, তার পর হায়দরাবাদ এবং শেষে পুণে যাওয়ার কথা তাঁর।
সকালেই গুজরাতের টিকা হাব জাইডাস ক্যাডিলা-র প্ল্যান্টে যান মোদী। আমদাবাদ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চাঙ্গোদর শিল্পাঞ্চল এলাকায় রয়েছে এই প্ল্যান্ট। সেখানে পৌঁছে সংস্থার আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে টিকার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। টিকার অগ্রগতি নিয়েও পর্যালোচনা করেন।
পিপিই কিটে আপাদমস্তক ঢেকে ওই প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন তিনি। মোদী টুইট করেন, ‘টিকার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আমদাবাদে জাইডাস ক্যাডিলার প্ল্যান্টে গিয়েছিলাম। আমি তাদের কাজে অভিভূত। টিকার কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে’।
প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে জাইডাস ক্যাডিলা। গত অগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। জাইডাস-এর তৈরি টিকার নাম ‘জাইকোভ-ডি’।
এখান থেকেই হায়দরাবাদের আর এক টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক-এ যান মোদী। দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন তিনি। ভারত বায়োটেক-এর আধিকারিকদের সঙ্গে টিকা নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনাও হয় বলে সূত্রের খবর।
ভারত বায়োটেক যে টিকা তৈরি করছে তার নাম ‘কোভ্যাক্সিন’। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে এই টিকা। হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এই প্ল্যান্টে গিয়েও টিকা নিয়ে পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে তাঁর। পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে কোভ্যাক্সিন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্ত, সংক্রমণের সব রেকর্ড ভাঙল আমেরিকা
সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের এই প্ল্যান্ট থেকে সোজা চলে যাবেন পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-য়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ডের সঙ্গে টিকা নিয়ে কাজ করছে সিরাম। সোমবারই অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড যৌথ ভাবে জানিয়েছিল, তাদের তৈরি টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। তারা আশাবাদী, এ বছরের শেষের দিকে বাজারে টিকা আনবে।
সূত্রের খবর, শুধু টিকার অগ্রগতির বিষয়টিই নয়, পাশাপাশি টিকা সরবররাহের জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই সব বিষয় নিয়েও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে মোদীর। গত ২৪ নভেম্বর রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মোদী। কী ভাবে টিকা সরবরাহ করা হবে, কী ভাবে এর সংরক্ষণ করা হবে তা নিয়েও সে দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।