ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় পাশ হওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। রাজ্যসভাতেও নাগরিকত্ব বিলটি পাশ করাতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কারণ, এই বিলে পুরনো শরিক জেডিইউ, অকালি দলের পাশাপাশি শিবসেনাও পাশে থাকবে বলে আশা করছে বিজেপি।
প্রথম মোদী সরকারের শেষ পর্বে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নাগরিকত্ব বিল লোকসভায় পাশ করানোর পর রাজ্যসভায় তা আনার ঝুঁকি নেয়নি মোদী সরকার। কারণ, পর্যাপ্ত সংখ্যা ছিল না। কিন্তু এ যাত্রায় বিজেপি শিবির নিশ্চিত। কারণ, রাজ্যসভায় বহু বিরোধী দলের সাংসদ দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এনডিএ সুবিধেজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিরোধী দলের এক নেতার হিসাবে, ‘‘রাজ্যসভায় মোট আসন ২৪৫। ফাঁকা রয়েছে ৫টি আসন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এনডিএর প্রয়োজন ১২১টি ভোট। এই মুহূর্তে এনডিএ-র শক্তি ১১৮। ফলে শাসক শিবিরের বিলটি পাশ করাতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া, আমাদের আশঙ্কা, বেশ কিছু দল সরকারকে সুবিধে করে দিতে ভোট দানে বিরত থাকবে।’’
তবে বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে টিআরএস। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল এ যাবৎ সরকারের পক্ষে থাকলেও, নাগরিকত্ব সংশোধনীতে বিরোধী কংগ্রেস-তৃণমূলের মতো বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। বিপক্ষে ভোট দেবে বাম। সপা-বিএসপি-র মতো দলও আপাতত বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলছে, যদিও গত অধিবেশনে সরকারের সুবিধাই করে দিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের ‘জোট’ ভাঙল নাগরিকত্ব বিল
তবে সরকারকে স্বস্তি দিয়ে ওই বিলটিকে সমর্থন করা হবে বলে জানিয়েছে শরিক শিরোমণি অকালি ও জেডিইউ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে জোট ভাঙা সত্ত্বেও বিলের পক্ষে থাকার কথা জানিয়েছে শিবসেনা নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত ও তাদের বিতাড়নের প্রশ্নে শিবসেনা বরাবরই সরব। তাই এ ক্ষেত্রে বিলের পক্ষে তাঁরা ভোট দেবেন। বিলটিতে সমর্থন করার কথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। অসমের দলগুলির মধ্যে এইউডিএফ ইতিমধ্যেই বিলটি প্রত্যাহারের দাবি করেছে। উত্তর-পূর্বে রাজ্যগুলিতে বিজেপির যে সব শরিক দল রয়েছে তারা ভোটদানে বিরত থাকবেন। মেঘালয়ে আগাথা সাংমার দল জানিয়ে দিয়েছেন তারা ভোট দেবে না।