—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তপ্ত তেলঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলা। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে জনরোষের সঞ্চার হয়। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামেরই এক বাসিন্দার বছর উনিশের এক তরুণের দিকে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত ওই তরুণের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বাড়ির সামনেই অভিযুক্তের একটি গাড়ি রাখা ছিল। সেটিতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা পৌঁছন ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। সিদ্দিপেটের পুলিশ কমিশনারও ঘটনাস্থলে যান। কিশোরীর পরিবার ও ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি। ঘটনা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।
কিশোরী যখন বাড়িতে একা ছিল, সেই সময় অভিযুক্ত বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কিশোরী সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। এর পরেই অভিযুক্ত তরুণকে মারধর করেন এলাকাবাসীরা এবং তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ওই তরুণের বাড়ির লোকেরা এলাকা থেকে বেপাত্তা। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার জন্য সিদ্দিপেটের এক সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।