প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ নাবালিকা শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন জামাইবাবু। আর তারই শাস্তি হিসেবে ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে পঞ্চায়েতের নির্দেশে বিক্রি করল পরিবার। মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার ধর্মপুরী থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
৩৫ বছরের ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর ১৫ বছরের বোনের সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাঁরা দু’জন গুজরাতে গিয়েছিলেন। এর পরেই ‘সক্রিয়’ হয় পঞ্চায়েত।
জেলা ‘চাইন্ড লাইন’-এর সদস্য প্রদীপ জৈন বুধবার জানান, ধার জেলারই মানওয়ারের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকায় গত সপ্তাহে বিক্রি করা হয় ওই নাবালিকাকে। গত সপ্তাহে জামাইবাবু ও শ্যালিকা গুজরাত থেকে ফেরার পরেই পঞ্চায়তের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় বিক্রির আয়োজন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের যোগাযোগ রয়েছে। ওই প্রধানকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভোজসভার আয়োজনের জন্য আরও ৫ হাজার টাকা পৃথক ভাবে দিয়েছে অভিযুক্ত পরিবার। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতেও এক নাবালিকাকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল তার পরিবারের বিরুদ্ধে।