ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন প্রত্যাহার ও পেগাসাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের মোবাইলে আড়ি পাতার ঘটনায় উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশন। সংসদের এই অধিবেশের শুরু থেকেই রণংদেহী মেজাজে রয়েছে তৃণমূল সাংসদরা। তাই এ বার সুষ্ঠু ভাবে সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সূত্রের খবর মঙ্গলবার সকালে রাজনাথ ফোন করেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতাকে। ফোনালাপেই সংসদের দু’কক্ষের অধিবেশন চালাতে তৃণমূলের সহযোগিতা চান দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাল্টা জবাবে সুদীপ জানিয়ে দেন, সবার আগে সংসদে আলোচনা হোক পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে।
দিল্লি সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জীবিত তৃণমূল সংসদীয় দল। তাই মোদী সরকারকে পেগাসাস ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলার ভাবনা নেই তৃণমূলের। কারণ পেগাসাস নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই এ বারের অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সংসদের ওই কক্ষের চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে শান্তনুর সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করেও লাভ হয়নি। তাই রাজধানীর রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে তৃণমূলও পাল্টা চাল দিয়ে রাজনাথের প্রস্তাব কৌশলে ফিরিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবারের মতো মঙ্গলবারও বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম দেখে আমি যা বুঝতে পারছি, সংসদের একটা অংশ সুষ্ঠু ভাবে অধিবেশন চালাতে দিতে চায় না। সংসদ জনগণের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার জায়গা।’’ চেয়ারম্যানের এমন বিবৃতিতেও লাভ হয়নি।