হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় উষ্ণতা পেতে আগুন পোহানো চলছে। ছবি: পিটিআই।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহের জেরে দিল্লিতে সোমবারের সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা আরও নেমে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস।
তবে ৯ জানুয়ারি থেকে শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি একটু কমবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। কারণ হিমালয় অঞ্চলে পিঠোপিঠি দু’টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সৃষ্টি হতে পারে। প্রথম ঝঞ্ঝাটি সৃষ্টি হতে পারে ১৮ জানুয়ারির রাতে। দ্বিতীয় ঝঞ্ঝাটি তৈরি হতে পারে ২০ জানুয়ারির রাতে। ফলে এই দুই ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হবে।
দিন কয়েক তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে শনিবার থেকে তুষারপাত শুরু হওয়ায় দিল্লি, রাজস্থান, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশে আবার শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, তা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম।
হরিয়ানার হিসারে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে, পঞ্জাবের অমৃতসরে তাপমাত্রা ছিল ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা আরও কমে হিমাঙ্কের ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে চণ্ডীগড়, রাজস্থানের উদয়পুর, উত্তরপ্রদেশের মেরঠে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি আরও বাড়ানো হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি বজায় থাকবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারত জুড়ে। এই সময়ের মধ্যে আবার মধ্য ভারতের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি কমবে। তবে দু’দিন ধরে এই পরিস্থিতি থাকার পর তৃতীয় দিন থেকে তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। দিল্লির শীর্ষ এক আবহবিজ্ঞানী বলেন, “দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে ভোরবেলা এবং রাতে। তবে এর সঙ্গে আগের দফার শৈত্যপ্রবাহের তুলনা টানলে হবে না।” গত ৫-৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় শৈত্যপ্রবাহ চলে। মাঝে কয়েক দিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, ১৫ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ চালু হয়েছে।