প্রায় এক মাস পরে আবার অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। গভীর রাতে পুলিশ কমান্ডোর উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা। —ফাইল ছবি।
প্রায় এক মাস পরে আবার অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। গভীর রাতে পুলিশ কমান্ডোর উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মাঝরাতে সীমান্ত শহর মোরেকে হামলা চালানো হয়। পুলিশ কমান্ডোদের ব্যারাকের ভিতরে আগুন ধরিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এ ছাড়া পুলিশের উপর গ্রেনেড হামলা চালায় তারা। ওই ঘটনায় চার জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের অসম রাইফেলসের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য দিকে, নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই মণিপুর জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। উত্তপ্ত এলাকায় কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।
শনিবার বিকেলে প্রথম পুলিশের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মণিপুর-ইম্ফল সড়কে পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের এক জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর পরে মোরেকে দ্বিতীয় আক্রমণ হয় মাঝরাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিরা পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে তারা পুলিশের ব্যারাকে হামলা চালায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। তাতে পুলিশের চার জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ফলে এক জনের কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোরেক ভারত এবং মায়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। সেখানে এই ধরনের জঙ্গি হানায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
হামলার খবর পেয়ে অসম রাইফেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মোরেকে গিয়েছেন। নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের একটি বৈঠকও হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নতুন করে অশান্তি ঠেকাতে জারি রয়েছে কার্ফু। অন্য দিকে, প্রায় এক মাস ধরে শান্ত ছিল মণিপুর। শনিবার সকাল থেকে কিছু এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। ওই ঘটনায় এক জনের প্রাণ গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর ওই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলাগুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।