—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তর ও মধ্য আরব সাগরে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সেই উদ্দেশ্যেই আরব সাগরের ওই অংশে আরও রণতরী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং উত্তর-মধ্য আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের উপর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার পরই নৌসেনার এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার নৌসেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে নিরাপত্তা জোগানোর জন্য বেশ কিছু রণতরী পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং উত্তর-মধ্য আরব সাগরের আন্তর্জাতিক জলপথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বেড়েছে।” এ ক্ষেত্রে বিবৃতিতে দু’টি জাহাজের উপর ড্রোন হামলার উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় উপকূল থেকে ৭০০ নটিক্যাল মাইল দূরে এমভি-রুয়েন নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালায় জলদস্যুরা। তার পর গুজরাতের পোরবন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ২২০ নটিক্যাল মাইল দূরে এমভি চেম প্লুটো নামের আর একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (ইইজ়েড)-এর কাছে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতও। এ ক্ষেত্রে আরব সাগর তো বটেই, নজরদারি বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরকেও সুরক্ষিত রাখতে চাইছে নৌসেনা। রণতরীর পাশাপাশি আকাশপথেও নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে ইরান সমর্থিত হুথি-গোষ্ঠী। হুথি জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। সে কারণে ইজ়রায়েলর সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চলবে। রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, হুথির এই হুঁশিয়ারির কারণে ঘুরপথে আফ্রিকার দক্ষিণ দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ইজ়রায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজ।