ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর। —প্রতীকী চিত্র।
অনেক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করার পরে ত্রিপুরায় জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানা গিয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে ফের ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
সেপ্টেম্বরে ত্রিপুরার তিনটি জঙ্গি গোষ্ঠী আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু এর দু’মাস পরেই ত্রিপুরা-মিজ়োরাম সীমান্তের ও-পারে বাংলাদেশের জপুই এলাকায় ‘ত্রিপুরা হামবগ্রত আর্মি’ নামে নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। ওই গোষ্ঠীতে এখন মোট ৭২ জন জঙ্গি রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। গোয়েন্দাদের দাবি, তারা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি শিবিরে রয়েছে। নিউ জপুই শিবিরে ২৩ জন, গর্জনপাশা শিবিরে ২৭ এবং সিমুই শিবিরে ২২ জন জঙ্গি আছে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে নিউ জপুই শিবিরের জঙ্গিরা উত্তর ত্রিপুরার আনন্দবাজার থানা এলাকার সীমান্তের ও-পারে ওল্ড জপুই এলাকায় এসেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ওল্ড জপুই শিবিরের জঙ্গিরা ত্রিপুরায় ঢুকে ঠিকাদারদের কাছ তোলা আদায়ের ‘নোটিস’ দিচ্ছে। ওই এলাকা থেকে রিয়াং জনগোষ্ঠীর কয়েক জন যুবক জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে বলেও স্থানীয়েরা জানিয়েছেন।
আগে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি এলাকায় ত্রিপুরার জঙ্গিদের শিবির ছিল। হাসিনা সরকার সেগুলি গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসে কয়েক জন জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দিয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা ও মৌলবাদীরা ত্রিপুরার জঙ্গিদেরও সাহায্য করছে।