মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
স্কুলে থাকতে নিয়ম-নিষেধের বেড়াজালে মনে হত বাইরের জীবনটাই ভাল। কিন্তু স্কুল ছাড়ার পরে বুঝি স্কুলের সেই সময়টাই সবচেয়ে সুখের ছিল। বক্তা মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ের লাবানে থাকা লাবান বঙ্গ বালক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পরিচিতি বেঙ্গলি বয়েজ় স্কুলের নামেই। স্কুলের শতবর্ষ পূর্ণ হবে ২০২৩ সালে। সেই উপলক্ষে বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠান কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শতবর্ষ উদযাপন উৎসবেরই সূচনা হল মঙ্গলবার। উৎসবের সূচনায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “স্কুলে থাকতে ভাবতাম বাইরের জীবনে কত আনন্দ। শাসন-নিষেধ নেই। কলেজে গিয়ে ভাবতাম স্কুলই ভাল। পরে কর্মজীবনে প্রবেশ করার পরে বয়স যত বাড়তে থাকে, বুঝতে পারি স্কুল ও কলেজের সময়টাই জীবনই সবচেয়ে আনন্দকাল। সেখান থেকে না বেরোলেই ভাল ছিল।” তাঁর মতে, স্কুল তৈরি হয় ধৈর্য, সচেতনতা, মূল্যবোধ ও সহিষ্ণুতাকে ভিত্তি করে। মানুষের, সমাজের ও দেশের ভিত গড়ে দেয় স্কুল। তাই পরবর্তী জীবনে খ্যাতনামা, প্রথিতযশা হলেও স্কুলের কাছে সকলেই ঋণী থাকেন। তাঁর আক্ষেপ, “মানুষ গড়ার কারিগর স্কুলের শিক্ষকদের বেতন খুবই কম, পেনশন নেই, নেই আর্থিক নিরাপত্তাও। তাই সকলেরই উচিত সাধ্যমতো নিজের স্কুলের জন্য অবদান রাখা।”