মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার শিলংয়ে কংগ্রেসের সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিতেই তৃণমূল ভোটে লড়ছে।’’ ঘটনাচক্রে, বুধবারই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে ভোটের প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই রাহুলের এমন মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।
‘বিজেপির বন্ধু’ এবং ‘ভোট কাটার দল’ হিসাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। পশ্চিমবঙ্গে কেমন হিংসা এবং দুর্নীতি হয় তা-ও সকলের জানা। এমন ঐতিহ্য থেকে সাবধান হোন।’’ গত বছর গোয়ার বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল খরচ করে ভোটে লড়ে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
প্রসঙ্গত, গত বছর গোয়ায় বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হলেও রাহুল তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। এর পর স্থানীয় দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে সমঝোতা করে ২২টি আসনে লড়েছিল তৃণমূল। কোনও আসনে না জিতলেও গোয়ায় ৫ শতাংশের বেশি ভোট পান জোড়াফুল প্রার্থীরা। পরিসংখ্যান বলছে, বেশ কয়েকটি আসনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল প্রার্থীর মিলিত ভোট জয়ী বিজেপি প্রার্থীর তুলনায় বেশি ছিল।
মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে অবশ্য তৃণমূলকে অন্যতম শক্তিশালী পক্ষ বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের অনেকেই। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ২১টিতে জিতে ‘বৃহত্তম দল’ হয়েছিল কংগ্রেস। ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। বাকি কংগ্রেস বিধায়করা শাসকদল এনপিপি এবং বিজেপি, ইউডিপি, এইচএসপিডিপির মতো দলে যোগ দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। ফলে ওই রাজ্যে এ বার কার্যত ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।