বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে নিশানা তৃণমূল সাংসদ জহরের। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলেই চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আমেরিকার ভারতীয় হাই কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছিলেন তিনি। সেই ইউপিএ জোটের চেয়ারপার্সন ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। অথচ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে মঙ্গলবার কড়া ভাষায় গান্ধী পরিবারের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার এ বার জয়শঙ্করের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগ তুললেন।
টুইটারে ধারাবাহিক পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক জহর। লিখেছেন, ‘‘আশ্চর্যজনক ভাবে গান্ধীদের প্রতি তাঁর ক্ষোভের কারণ খুঁজে পেয়েছেন জয়শঙ্কর। সবচেয়ে বিশ্বস্ত ভাবে তাঁদের (গান্ধী) সেবা করার পরে এবং তাঁদের সময় সেরা পোস্টিং নেওয়ার পরে! এটা কি স্মৃতিভ্রংশ না কি বিদেশমন্ত্রী হিসাবে অভূতপূর্ব পদোন্নতির জন্য তিনি বিজেপিকে আঁকড়ে ধরছেন।’’
মোদীর মন্ত্রী জয়শঙ্করকে নিশানা তৃণমূল সাংসদ জহরের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর অভিযোগ করেন তাঁর বাবা কে সুব্রহ্মণ্যমও আইএএস আধিকারিক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা সচিব হয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতার ফেরার পরেই তাঁকে সচিব পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ ১৯৭৯ সালে জনতা সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা উৎপাদন দফতরের সচিব হয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইন্দিরার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর তাঁকে কোপে পড়তে হয়েছিল বলে দাবি করে জয়শঙ্কর।
জহর মঙ্গলবার গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গে প্রয়াত সুব্রহ্ম্যণমের মন্তব্য তুলে ধরে নিশানা করেছেন মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রীকে। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘এস জয়শঙ্করের বাবা, কে সুব্রহ্মণ্যম বলেছিলেন, ‘ধর্মকে গুজরাতে (২০০২ সালের দাঙ্গায়) খুন করা হয়েছিল। যাঁরা নিরপরাধ নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাঁরা অধর্মের দোষে দোষী। ভগবান রামচন্দ্র গুজরাতের অসুর শাসকদের বিরুদ্ধে তাঁর ধনুক ব্যবহার করতেন’। অসুরের সেবক ছেলের জন্য লজ্জা।’’
জল্পনা, এ ক্ষেত্রে ‘অসুর’ বলতে গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বোঝাতে চেয়েছেন জহর। ঘটনাচক্রে যাঁরা এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী পদে।