Mamata Banerjee

ত্রিপুরার ভোটে ‘প্রহসন’ হয়েছে, মেঘালয়ে ভোটের প্রচারে জানালেন মমতা, শোনালেন ‘হুঁশিয়ারি’ও

মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটের প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে সন্ত্রাস করে ৯২ শতাংশ ভোট করা হয়েছে। তিনি মেঘালয়ের প্রার্থীদেরও সতর্ক করে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৮
Share:

মেঘালয়ের গারো প্রজাতির পালক দেওয়া শিরসজ্জায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

ত্রিপুরায় ভোটের ফলঘোষণা ২ মার্চ। তার আগে মেঘালয়ের ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ভোটের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে ত্রিপুরায়। মমতার কথায়, যে ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে, তার পুরোটাই হয়েছে ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে। যা শুনে মমতার বিরোধী শিবিরের একাংশ মনে করছে, তা হলে কি ত্রিপুরায় ভোটের ফলাফল নিয়ে খুব একটা ‘আশাবাদী’ নন তৃণমূলনেত্রী? সেই কারণেই তিনি আগে থেকেই ত্রিপুরার ভোটকে ‘প্রহসন’ বলে বর্ণনা করছেন?

Advertisement

ত্রিপুরার ভোটের ১১ দিনের মাথায় আগামী সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হবে মেঘালয়ে। তার চার দিন আগে বুধবার ভোটের প্রচারে উত্তর-পূর্বের এই ভোটমুখী রাজ্যে গিয়েছিলেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মেঘালয়ের নির্বাচন নিয়ে অভিষেকের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরই মঞ্চে ওঠেন মমতা। মেঘালয়ের মানুষকে ‘একতা, উন্নয়ন আর বন্ধুত্বের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূলকেই বেছে নেওয়ার কথা বলছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তখনই তিনি টেনে আনেন ত্রিপুরার ভোটের প্রসঙ্গ।

মমতা বলছিলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যই বঞ্চনার শিকার। দিল্লি বা অসম আপনাদের বন্ধু হতে পারবে না। আপনাদের কাছেই কোচবিহার। আলিপুরদুয়ারও। আমরাই ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বে সমস্ত রাজ্যে আসব। মেঘালয়কে অসম বা দিল্লি চালাবে না। আমরাও চালাবে না বাংলা থেকে। আমরা বন্ধু। আমরা সহযোগিতা করব। আমরা আপনাদের পাশেই আছি। তাই ভয় পাবেন না। সাহসী হন।’’

Advertisement

কেন ‘সাহসী’ হওয়ার দরকার, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই মমতা বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় দেখেছেন কী হয়েছে? নির্বাচনের নামে সন্ত্রাস চালিয়ে ৯২ শতাংশ ভোট করেছে! আমি এখানকার প্রার্থীদের বলব, প্লিজ় দেখুন। খেয়াল রাখুন। যাতে রিগিং করতে না পারে। নিজের ভোট নিজেকে দিতে হবে। সমস্ত সম্প্রদায় সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘু একজোট হয়ে ভোট করুন।’’

ত্রিপুরায় আগের বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ৩৬টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। প্রাক্তন শাসক বামেরা পেয়েছিল ১৬টি আসন। তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। ২০২১ সালের পুরভোটে ভোট শতাংশে আগরতলায় পুরনো শাসক সিপিএমকে পিছনে ফেলে দিলেও শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের কাছে হার মানতে হয়েছিল তৃণমূলকে। আগরতলার ৫১টি আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তার পরেও ত্রিপুরা বিধানসভার মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।

মেঘালয়ের প্রচারে গিয়ে হুঁশিয়ারিও শুনিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা এই ক’দিনে টাকাপয়সা দিয়ে ভোট কিনে নিতে পারে। আমি (কিছু) বলব না। ওরা বিপজ্জনক! মনে রাখবেন, ওরা টাকা দিলে সিবিআই-ইডি দিয়ে কেড়েও নিতে পারে। তাই আমি বলব, ঘরে যা আছে তা-ই খাব। তাই দিয়েই ছেলেমেয়েদের মানুষ করব। ওদের ভিক্ষে নেব না।’’

(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, ত্রিপুরায় এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল। এটি ঠিক নয়। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement