অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
মাসের প্রথমে অমিত শাহ, মাসের শেষে নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে নভেম্বর এ ভাবেই কিছুটা ‘অর্থপূর্ণ’ হতে চলেছে। কারণ শাহ এবং মোদীর দুই কর্মসূচিতে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শাহ ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন। ওই বৈঠকে পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে ওই দু’জনের দেখা হওয়া ছাড়াও নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা হবে মমতার। ঠিক তার তিন দিন আগে চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী চেন্নাই যাবেন বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের একটি আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে মমতা ২ নভেম্বর বিকেলে চেন্নাই পৌঁছে ওই দিনই স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করবেন। ইতিমধ্যেই স্ট্যালিনের সঙ্গে এ ব্যাপারে তাঁর কথাও হয়েছে।
‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচি উপলক্ষে মোদীর কলকাতায় আসার কথা নভেম্বরের শেষে। দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠকের পরেই রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন রকম চর্চা চলেছিল। তার পরে সম্ভবত এটিই হবে তাঁদের দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
দিল্লিতে মমতার সঙ্গে মোদীর যে বৈঠক হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হলেও দু’জনের একান্তেও কথা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কংগ্রেস ও বামেরা বিজেপি-তৃণমূল ‘সেটিং’-এর তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আপাত ভাবে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিটি একেবারেই সরকারি। ফলে সেখানে সরাসরি রাজনীতির কথা উঠে আসার সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া এখনও পর্যন্ত তাঁদের আলাদা করে কোনও বৈঠক বা আলোচনার কথাও জানা যায়নি। ফলে রাজ্যে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সূত্র ধরে সরকারি কাজ রূপায়ণের বিষয়ে তাঁরা কী বলেন,রাজনৈতিক মহলের তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।