প্রজ্জ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশছাড়া হাসন লোকসভার জেডিএস প্রার্থী প্রজ্বল রেভান্না। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘ব্লু নোটিস’ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি— একাধিক পদক্ষেপ করেছে কর্নাটক সরকার। কিন্তু এখনও অধরা প্রজ্বল। তাঁকে ফেরাতে কেন্দ্রের দরজায় টোকা মেরেছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের আবেদনও করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, কর্নাটক সরকারের অনুরোধ আসার পরেই বিদেশ মন্ত্রক প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। বুধবার মোদীকে লেখা দ্বিতীয় চিঠিতে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘এটি খুবই জঘন্য ব্যাপার। অশ্লীল ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর পরই ২৭ এপ্রিল কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্রজ্বল দেশ ছাড়েন।’’ সূত্রের খবর, প্রজ্বল বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতেই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে কর্নাটক সরকার।
দিন কয়েক আগেই প্রজ্বলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, দেবগৌড়ার পৌত্র প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ওঠা হেনস্থার অভিযোগে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটক পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ব্লু কর্নার’ নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোলও।
এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাঁর বিধায়ক বাবা তথা দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি রেভান্নাও। সম্প্রতি প্রজ্বলের যৌন নির্যাতনের যে সমস্ত ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছে, তার মধ্যে এক নির্যাতিতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধেও। সাত দিন হাজতবাসের পর বিশেষ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি।