বরফে ঢাকা হিমাচলের রাস্তা। ছবি: পিটিআই।
বড়দিনে বরফে ঢাকল হিমাচলপ্রদেশ। তুষারপাতের জেরে সে রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক সড়ক। এর জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটক ও নিত্যযাত্রীরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলে ভারী তুষারপাতের কারণে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। জখম আরও অনেকে। শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার পাশাপাশি তুষারপাত হয়েছে শিমলা, কুল্লু, চম্বা, লাহুল-স্পিতি, সিরমৌর এবং মন্ডীতেও। তুষারপাতের জেরে হিমাচলের বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে মোট ২২৩টি সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি জাতীয় সড়কও। এর মধ্যে শিমলায় ১৪৫টি, কুল্লুতে ২৫টি এবং মন্ডীতে ২০টি সড়ক বন্ধ। বুধবার ঠান্ডার জেরে ৩৫৬টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
সোমবার থেকেই হিমাচলে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সে দিন তুষারপাতের কারণে অটল টানেলে আটকে পড়েছিল বহু গাড়ি। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় গাড়ি থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। তার পর থেকেই ভোগান্তি থামার নাম নেই হিমাচলে। ইতিমধ্যেই সেখানে রাস্তা থেকে বরফ সরানোর জন্য দু’টি স্নো ব্লোয়ার-সহ ২৬৮টি মেশিন নামিয়ে কাজে লেগে পড়েছে প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে তুষারপাতের সময় পর্যটক ও স্থানীয়দের গাড়িতে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তুষারপাতের জেরে শিমলা, মানালি এবং ডালহৌসিতে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও পর্যটকদের ঢল অব্যাহত! বরং গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা! শিমলায় বেশির ভাগ হোটেলেই একটিও ঘরও খালি নেই। মানালির হোটেলগুলিতেও ৭০ শতাংশ ঘরেই পর্যটকেরা আস্তানা গেড়েছেন। বরফ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সকলেই!