কেরল পুলিশের ভরসা এখন এই দুই সারমেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ধসের নীচে কি আর কোনও দেহ চাপা পড়ে রয়েছে? সেই দেহের খোঁজ চালাতে কেরল পুলিশের এখন ভরসা মায়া এবং মার্ফি। ওরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেলজিয়ান ম্যালিনয় প্রজাতির দুই সারমেয়। কেরল পুলিশের ডগ স্কোয়াডের দুই সদস্য। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে দেহ খুঁজে বার করায় দক্ষ এই দুই সারমেয়।
তাদের বয়স পাঁচ। ওয়েনাড়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহ খুঁজে বার করছে মায়া এবং মার্ফি। গত ১ অগস্ট ওদের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ওয়েনাড়ের তিন বিধ্বস্ত এলাকা মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা এবং ভেলারিমালায় ওরাই বহু দেহ খুঁজতে সহযোগিতা করেছে উদ্ধারকারীদের। এরা ‘হিউম্যান রিমেন্স ডগ’ নামেও পরিচিত। অর্থাৎ, কোনও বিস্ফোরক বা মাদক খুঁজে বার করা নয়, মায়া এবং মার্ফিকে শুধু ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মানবদেহ এবং দেহাংশ খুঁজে বার করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দু’দিনেই ওরা ২৩টি দেহ খুঁজে বার করেছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কোথায় দেহ রয়েছে শুঁকে শুঁকে ওরা সেই জায়গা চিহ্নিত করে দিচ্ছে উদ্ধারকারীদের। তার পর সেই জায়গা খুঁড়ে দেহ উদ্ধার হচ্ছে ওয়েনাড়ে। সারমেয়দের প্রশিক্ষক প্রভাত বলেন, “কোথায় দেহ চাপা পড়ে রয়েছে, মায়া এবং মার্ফি চিহ্নিত করে দিচ্ছে। ৩০ জুলাই আমরা ওয়েনাড়ে আসি। পরদিন আমাদের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ওই দিনই দু’টি দেহ খুঁজে বার করেছে মায়া। ১ অগস্টে আরও ১৫টি এবং ২ অগস্টে আরও ৬টি দেহ খুঁজে বার করেছে ওরা।”
গত চার বছর ধরে মায়া আর মার্ফির অভিভাবক কেরল পুলিশ। বহু বড় বড় অভিযানে অংশ নিয়েছে এই দুই সারমেয়। ২০২০ সালে ইদ্দুকি জেলার পেট্টিমুড়িতে যে ধস নেমেছিল, সেই ঘটনায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ধসের দু’ফুট নীচে চাপা পড়া দেহ খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল মায়াকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাটির ১০ ফুট নীচ থেকে দেহ খুঁজে বার করেছিল মায়া। পঞ্জাব হোমগার্ডের সদস্য ছিল মায়া, মার্ফি। ২০২০ সালে কেরল পুলিশই তাদের অভিভাবক।