—প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। ‘অপবাদ’ সহ্য করতে পারেননি তিন সন্তানের পিতা, বিবাহিত যুবক। তাই ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন অভিযুক্ত। প্রেমিকা এবং তাঁর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে টাকা দিতে চাপ দেওয়া এবং মিথ্যা অভিযোগ করার পাল্টা অভিযোগ তুলে নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। নদী থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ১৯ বছরের এক তরুণী, কাজল। ওই তরুণীর পরিবার দাবি করে, অভিযুক্ত ওই যুবক মণীশের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে তাঁদের মেয়ে। পরে তরুণী বাড়ি ফিরে এলেও পরিবার মণীশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। আত্মঘাতী যুবকের দাবি মোতাবেক, পাঁচ লক্ষ টাকা না দেওয়া হলে পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ফেসবুক লাইভে এসে ওই যুবক জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর কোনও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে প্রেম ছিল কি না, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মণীশ। যুবক এ-ও জানান যে, তিনি বিবাহিত এবং বাড়িতে তাঁর তিন শিশুসন্তান রয়েছে। ওই তরুণীর পরিবারের বিরুদ্ধে টাকার জন্য চাপ দেওয়া এবং ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেই নদীতে ঝাঁপ দেন মণীশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে নাগপুরের কালামানা থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে।