প্রতীকী ছবি।
২১ জুন মধ্যপ্রদেশে ১৭ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে হিসাব দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে যা চিত্র দেখা যাচ্ছে, তা একেবারে উল্টো। একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এমন মানুষদের টিকা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের আদৌ টিকা পাওয়ার কথাই নয়।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রজত দাঙ্গরের অভিযোগ, তাঁর ছেলের বয়স ১৩। সে বিশেষভাবে সক্ষম। ২১ জুন তাঁর কাছে একটি মেসেজ আসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, সেখানে বলা হয়, তাঁর ছেলের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেশে ১৮ বছরের নীচে টিকাকরণ শুরুই হয়নি, সেখানে কী করে তাঁর ১৩ বছরের সন্তান টিকা পেল? ভেবেই পাচ্ছেন না তিনি। এমনই রাশি রাশি অভিযোগ জমা পড়ছে। অনেকেই বলছেন, টিকা না নিয়েও হাতে এসেছে টিকার সংশাপত্র।
সাতনা জেলার চান্দ্রেয়ী পাণ্ডের ঘটনা আরও অবাক করে। ২১ জুন পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনি তিনটি ভিন্ন মেসেজ পেয়েছেন। যেখানে এমন তিনজনের টিকা পাওয়ার কথা লেখা আছে, যাঁদের তিনি চেনেন না। ৪৬ বছরের নুজহত সালিমও এই দিন মেসেজ পেয়েছেন, কিন্তু টিকা পাননি।
সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা অবশ্য জানিয়েছে, এমন কোনও অভিযোগ সরকারের কাছে নেই। যদি কোনও অভিযোগ জমা পড়ে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে। যদিও বিরোধী কংগ্রেস এই নিয়ে তোপ দেগেছে। তাদের দাবি, টিকাকরণের পরিসংখ্যানে গরমিল রয়েছে।